অনলাইন ডেস্কঃ স্মার্ট চট্টগ্রাম গড়তে নগরী থেকে দৃশ্যমান তারের জঞ্জাল সরানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু হাসনাত মো. বেলাল। তার প্রস্তাবের ভিত্তিতে লালখান বাজার এলাকার জন্য একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প শুরু হয়েছিলো। কিন্তু সেই প্রকল্প আজও বাস্তবায়ন হয়নি। আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে ডিশ ও ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানকারী বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে সেই একই কথা উঠে এসেছে মেয়রের মুখে।
তারের জঞ্জালে ম্লান হওয়া চট্টগ্রামের সৌন্দর্য ফেরাতে সংশ্লিষ্টদের সহযোগীতা কামনা করেছেন চসিক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। আগামিতে নগরবাসীর ডিশ, ইন্টারনেট সংযোগ ক্যাবল ব্যবস্থাপনা চসিকের আওতায় হবে বলেও জানান তিনি।
মেয়র বলেন, বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চট্টগ্রামের যে গুরুত্ব আছে তা ম্লান হয়ে যাচ্ছে তারের জঞ্জালের জন্য। নগরীর সৌন্দর্য ও নিরাপত্তার স্বার্থে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তারের জঞ্জাল অপসারণ করতে চাই।
আরও পড়ুন চসিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আবাসন সংকট সমাধানে মেয়রের যে প্রস্তাব
তিনি বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে ডিশ, ইন্টারনেট সংযোগ ক্যাবল ব্যবস্থাপনা হলে বৈদ্যুতিক পিলারে দুর্ঘটনা কমবে, শহরের সৌন্দর্য বাড়বে৷ আবার তার কাটা ও চুরি রোধ হওয়ায় ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবে। আজকে প্রাপ্ত মতামতগুলো বিবেচনার পাশাপাশি নির্বাচনের পর ১৫ জানুয়ারি, সোমবার আবারো এ বিষয়ে মতবিনিময়ের সভা করব আমরা। তবে এই কাজটি চ্যালেঞ্জিং তাই সবার মতামতের ভিত্তিতে সবাইকে সাথে নিয়ে পহেলা ফেব্রুয়ারী থেকে এ সমস্যা সমাধানে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করতে চাই।’
সভায় চসিকের পরিবেশ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাস সুমন তারের জঞ্জাল অপসারণে ক্যাবল ট্রে ব্যবহারের পরামর্শ দেন। লালখানবাজার ওয়ার্ডে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ভূ-গর্ভস্থ ক্যাবল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য কাজ চলছে বলে জানান পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল।
চসিকের সচিব খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, সহকারী স্থপতি আবদুল্লাহ আল ওমরসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ।
Leave a Reply